আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি। প্রাণ হারিয়েছেন বহু অসামরিক নাগরিক। লিবিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত শনিবারের সংঘর্ষে ১৭ জন অসামরিক নাগরিকসহ ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আর, আহত হয়েছেন ৮৭ জন। তবে, অসমর্থিত সূত্রের খবর, ২৭ আগস্টের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ৩২ জন এবং আহত হয়েছেন ১৫৯ জন।
গত দুই বছর ধরে শান্তি প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে লিবিয়ায়। কিন্তু, দেশজুড়ে জাতীয় নির্বাচনের আগে আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে লিবিয়া।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আবদুলহামিদ আল-দ্বিবাহার সরকারের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে প্রতিদ্বন্দ্বী ফাথি বাশাঘার অনুগত মিলিশিয়াদের। আল-দ্বিবাহার সরকারের বাহিনী মিলিশিয়াদের একটি গ্রুপকে হটাতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। জানা যাচ্ছে, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় পার্লামেন্ট ফাথি বাশাঘারকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই কারণে আল-দ্বিবাহার সরকারের সঙ্গে তাঁর (বাশাঘার) দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শনিবার বাশাঘার বাহিনী ত্রিপোলির বিভিন্ন অঞ্চল দখল করার চেষ্টা করে। কিন্তু, রাজধানীতে পৌঁছানোর আগে মিসরাতার দিকে ফিরে যায় বাহিনীর প্রধান সামরিক কনভয়।
পরে অনলাইনে আল-দ্বিবাহার একটি ভিডিও পোস্ট করেন, তাতে দেখা যায় শহরে সংঘর্ষ বন্ধের পরে বাহিনীর যোদ্ধাদের সাথে করমর্দন করছেন তিনি।
তবে, রবিবার বিকালে আবার ফাথি বাশাঘার বাহিনী তিন দিক থেকে এসে ত্রিপোলিতে জমায়েত করে। উত্তর-পশ্চিম ত্রিপোলির জানজোরে, বাশাঘা পন্থী বাহিনীর সঙ্গে আল-দ্বিবাহার বাহিনীর সংঘর্ষের খবর মিলেছে।
ত্রিপোলির দক্ষিণে, আবু সালিম জেলার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরে প্রবল গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই গুলি বাশাঘা-পন্থী কমান্ডারকে আক্রমণ করতে করা হয়েছে কিনা, তা শনাক্ত করতে পারেনি সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে, একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, বাশাঘার সাথে যুক্ত ৩০০টিরও বেশি গাড়ির একটি বহর উত্তর-পূর্ব দিক থেকে ত্রিপোলির দিকে রওনা হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সেই বহর মিসরাতার ঘাঁটিতে ফিরে গেছে।
মতিহার বার্তা /এএম
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.